- শেখ হাসিনাকে নিয়ে নির্মিত ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে ১৬ নভেম্বর
-
শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী আজ
-
প্রতিষ্ঠিত একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও সঙ্গীত প্রিয় মানুষ আবদুল জব্বার খান
-
ঈদের আনন্দে মেহেদির হাত রাঙাতে ব্যস্ত নারীরা
-
পোষাকি ফ্যাশনেও স্বাধীনতা দিবস
-
ভালবাসা দিবসে ফুল ছড়াবে প্রাণের সুবাস
-
শীতের উষ্ণতায় শাল
-
কাল শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা
-
বিশ্ব শরণার্থী দিবস আজ
-
ঘুরে আসুন সীতাকুন্ডের শিব চতুর্দশী মেলায়
- সামাজিক বন্ধনের কারিগর বাবুই পাখির বাসা হারিয়ে যাচ্ছে
-
তরুণ-তরুণীর শীত পোশাক
- ঘুরে আসুন বরফের দেশে
- বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যটন ক্ষেত্র
- সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর আজ
- পূজোয় পাঞ্জাবির কালেকশন
- পূজোতে বেনারসি আর কাতান
- পূজোয় মুনমুন’স এর পোষাক
- সুন্দর রাখাই যাঁর কাজ – রুম্পা চৌধুরী
- প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের দেশ ভারত
- ‘প্রীতিলতা’ চলচ্চিত্রে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার বংশধর
- স্মৃতিতে সরষে ইলিশ
- শরতের শুভ্র প্রতীক কাশফুল
- চীনে মধুমাস পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন বানর মহাশয়রা
- মনোমুগ্ধকর দৃশ্যাবলী ও ছবির মত সুন্দর ‘সুইজারল্যান্ড’
- মনোরম সমুদ্রসৈকত আর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যের লীলাভূমি ‘গোয়া’
- বন্ধুত্ব অমিলন …..
- প্রকৃতির স্বপ্নরাজ্য ‘দার্জিলিং’
- নান্দনিক সৌন্দর্যের দেশ ভূটান
- ভয়ঙ্কর সুন্দর অ্যান্টার্কটিকা
মর্নিংসান২৪ডটকম Date:১৪-০২-২০১৮ Time:৫:২১ অপরাহ্ণ
কমল দাশ: ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন শেষ। দিনটিতে তরুণ–তরুণীরা বাসন্তী রঙের পাঞ্জাবি–শাড়ি পরে সামিল হয়েছে বসন্ত উৎসবে। তরুণীরা মাথায় রিং ও খোঁপায় গাঁদা ফুল গুঁজে দিনভর খুনসুটিতে মেতে থাকে। আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ফুল ছাড়া যেনো ভালোবাসা দিবসকে কল্পনাই করা যায় না। এই দিবস দুটিকে কেন্দ্র করে নগরীর ফুলের দোকানগুলো ফুলে ফুলে ভরে গেছে। ফুল ব্যবসায়ীরা বলছেন, বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে ফুলের দোকানগুলো সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ভালোবাসা দিবসে লাল গোলাপের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। প্রতিবছর বিক্রিও বেশ ভালো হয়। এর বাইরে তরুণ–তরুণীরা চন্দ্রমল্লিকা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, লিলি ফুলই বেশি কিনে। বসন্ত উৎসবের জন্য তরুণীরা গাঁদা ফুলের পাশাপাশি মাথার রিংয়ের অর্ডার দিয়েছে বেশি। ভালোবাসা দিবসের দিন ২৫ লাখ টাকার ফুল বিক্রি হবে এমন আশা করছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। ভালোবাসা দিবসে গাঁদা এবং গোলাপ ফুলের প্রচুর চাহিদা থাকে। সাধারণ দিনে একটি লাল গোলাপ ৫ টাকায় বিক্রি করলেও ভালোবাসা দিবসে আমরা তা ১৫–২০ টাকায় বিক্রি করে থাকি। এই সময়ের লাল গোলাপের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকে। দেশের বাজারে লাল, গোলাপী, হলুদ ও সাদা রঙের চীনা গোলাপ বেশি পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে চীন থেকে সরাসরি ফুল আমদানি বন্ধ রয়েছে। অধিকাংশ চীনা ফুল সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভারত হয়ে দেশের বাজারে প্রবেশ করছে। আদিল রাহাত নামে এক তরুণ জানান, প্রিয় মানুষের জন্য ফুল কিনতে এসেছি। তবে এ বছর ফুলের দাম একটু বেশি। উপলক্ষ ছাড়া আসলে প্রিয়জনকে ফুল দেয়া হয় না। তাই এক ডজন ফুল কিনেছি, সঙ্গে অন্য উপহার তো অবশ্যই দেবো। চট্টগ্রাম ফুল ব্যবসায়ী বাহাদুর নাসারীর মালিক বলেন, ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে ফুল ব্যবসায়ীরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এখন আমাদের দেশে ফুলের মৌসুম, তাই কৃত্রিম ফুলের ব্যবহার কোথাও হচ্ছে না। দেশিয় ফুলের বাইরে বর্তমানে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও ভারত থেকে দেশের বাজারে ফুল আসছে। তুলনামূলকভাবে দাম তেমন বাড়েনি। তিনি আরো বলেন, কিছু কিছু মৌসুমী খুচরা বিক্রেতা বিভিন্ন বিশেষ দিবসকে কেন্দ্র করে বাড়তি দামে ফুল বিক্রি করে। তবে আমাদের সমিতির তালিকাভুক্ত কোনো ফুল ব্যবসায়ী ক্রেতাদের কাছ থেকে বাড়তি দাম রাখছে না। লেখা ও ছবি: কমল দাশ। ফুলের আদান প্রদানের মাধ্যমে পারস্পরিক বিশ্বাস, প্রতিশ্রুতি, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার বহি:প্রকাশ ঘটে। এছাড়া নিজেকে সাজাতে ফুলের জুড়ি নেই। প্রেমিক যুগলের কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি উপহারই হলো ফুল। ফুল বিক্রেতারা জানান, ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এবং ভারতসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রচুর পরিমাণ বিভিন্ন জাতের ফুল এসেছে। ভালোবাসা দিবসে তরুণীরা ফুলের তৈরি অলঙ্কারই বেশি পছন্দ করেন। তাই দোকানগুলোতে কয়েক প্রকার ফুলের রিং ও মালা তৈরি হচ্ছে। ফুল ব্যবসায়ীরাও সারা বছর এই দিবসগুলোর অপেক্ষায় থাকেন। অপরদিকে ফুলের আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে কাঁচা ফুলের ব্যবসাতে দীর্ঘদিন ধরে মন্দাভাব বিরাজ করছে। তাই বাধ্য হয়ে বিভিন্ন উপলক্ষ গুলোতে অন্যদিনগুলোর চেয়ে দ্বিগুণ–তিনগুণ দামে ফুল বিক্রি করতে হয়।
ভালোবাসা দিবসে কেন্দ্র করে ফুলের দোকানে মাথার রিংয়ের অর্ডার দিতে এসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাজরিন হাসপিয়া রুশমি। তিনি বলেন, বসন্ত উৎসবের জন্য রিংয়ের অর্ডার দিতে এসেছি। ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করার জন্যই আমাদের এই আয়োজন।
মডেল: নুসরাত।
ডিজাইনার: খালেদা আকতার কলি (আরশি)।